স্পোর্টস ডেস্ক:
৮৫ রান করে ১৪৩ রানে জিতল ইংল্যান্ড! ক্রীড়া প্রতিবেদকলর্ডসে ‘রোমাঞ্চকর’ এক জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জো রুটের দল। টেস্ট খেলুড়ে দুদলের পার্থক্য জয়-পরাজয়েই ফুটে উঠেছে। কিন্তু রোমাঞ্চকর বলার অর্থটা প্রকৃতভাবে ফুটে ওঠেনি!
ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। এই টেস্টেই প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় বিশ^চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সেই দলই কিনা মাত্র আড়াই দিনে ম্যাচ জিতে নেয় ১৪৩ রানের বড় ব্যবধানে। এর চেয়ে রোমাঞ্চ আর কী হতে পারে! আইরিশ বোলারদের তোপে প্রথম ইনিংসে দাঁড়াতে পারেননি জেসন রয়, জো রুট, জনি বেয়ারস্টোরা। মধ্যাহ্নভোজের আগেই গুটিয়ে যায় ইংলিশরা।
এর পর ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২০৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে পোর্টারফিল্ডের দল এগিয়ে যায় ১২২ রানে। এমতাবস্থায় টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছিল আইরিশরা। লর্ডসে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চেনারূপে ফিরে আইরিশদের প্রকৃত অবস্থা বুঝিয়ে দেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান-বোলাররা। জ্যাক লিচ, জেসন রয়রা দুর্দান্ত ব্যাট করে দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ৩০৩ রান তোলে।
আয়ারল্যান্ডের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮২ রানের। প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংটা করতে পারলেই বাজিমাত। নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে জয় আয়ারল্যান্ডের! কত সহজ সমীকরণ। অথচ এই সহজ কাজটাই করতে পারেনি আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। তাদের করতে দেননি ইংলিশ দুই পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকস। দুজনে মিলেই ধসিয়ে দেয় আইরিশদের। মাত্র ৩৮ রানে অলআউট করে দেয় আয়ারল্যান্ডকে।
ওকস ৬টি এবং ব্রড নেন ৪ উইকেট। ৭.৪ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন ওকস। টেস্টে এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। তৃতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকার করেন এ পেসার। প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও টেস্ট জিতে নেওয়ার পঞ্চম ঘটনা এটি। একই টেস্টে মুদ্রার দুই পিঠ দেখা আইরিশরা শুধু হারই দেখেনি, সর্বনিম্ন ইনিংসের লজ্জার রেকর্ডও গড়েছে।
৩৮ রান টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের অলআউটের সপ্তম ঘটনা এটি। ২৬ রানে অলআউট হয়ে সবার ওপর রয়েছে নিউজিল্যান্ড। এর পরের চারটি আসন দক্ষিণ আফ্রিকার (৩০, ৩০, ৩৫ ও ৩৬), অস্ট্রেলিয়া ৩৬, সবশেষ গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আইরিশরা অলআউট ৩৮ রানে।